ভারতের ১৮তম লোকসভায় বিজেপি এবং তাদের জোট সরকার এনডিএ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। বিরোধী জোট ‘ইনডিয়া’র শক্তি বৃদ্ধির ফলে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো আগের চেয়ে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ২৬ জুন, বুধবার ওম বিড়লা দ্বিতীয়বারের মতো লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হন। এরপর ২৪ জুন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরা মোদি ও তার দলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সমালোচনাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস নেতারা একজন চা বিক্রেতা কীভাবে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তা মেনে নিতে পারছেন না।’ মোদি আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব পালন ও আচরণবিধি শেখার জন্য তাদের বর্ষীয়ান সদস্যদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
এনডিএ জোটের বৈঠকে মোদি বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের আচরণ, নিয়ম-কানুন মেনে চলা এবং সংসদে কীভাবে কাজ করতে হবে, তা শেখা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক সাংসদকে তাদের নিজ নিজ লোকসভা এলাকার বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সংসদ সদস্যদের আচরণ ও দায়িত্ব নিয়ে পরিষ্কারভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি দেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।’
এবার বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এনডিএ জোটের অন্যান্য দলগুলোর সমর্থন প্রয়োজন। মোদি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে এনডিএ সদস্যদের কাজ করতে হবে।’
এর আগে মোদি কেবলমাত্র বিজেপি সাংসদদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতেন। এবার এনডিএ জোটের অন্যান্য দলগুলোর আইনপ্রণেতাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনডিএ জোট শরিকদের সমর্থনে সরকার গঠন করেছে মোদি সরকার।
কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘দেশের কাজ করার জন্যই লোকসভায় সাংসদদের নির্বাচিত করা হয়। দল নির্বিশেষে দেশের হয়ে কাজ করাটা আমাদের প্রথম দায়িত্ব।’