নিম্ন জন্মহার ও বয়স্ক জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া নতুন জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা এই ঘোষণা দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার কমে যাওয়া এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় এটি দেশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সরকার নতুন এই মন্ত্রণালয় খোলার পরিকল্পনা জানিয়েছে।
জুলাইয়ের মধ্যে সংশোধিত সরকারি সংস্থা আইন প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়টি চালু করা হবে। নতুন মন্ত্রণালয়টি চালু হওয়ার পর নিম্ন জন্মহার, বয়স্ক জনসংখ্যা, জনশক্তি এবং অভিবাসন বিষয়ক বিভিন্ন কৌশল ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে। এই মন্ত্রণালয়টি জন্মহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া জনসংখ্যা নীতি এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়ন করবে, যা বর্তমানে স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন মন্ত্রণালয়টি চালু হওয়ার পর জনসংখ্যা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি ও প্রচারণা বাড়াবে এবং ডেমোগ্রাফিক তথ্যের ওপর গবেষণা করবে। সংশোধিত বিল পাস হওয়ার তিন মাস পর নতুন মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারে। স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার তথ্যমতে, ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্টিলিটি হার ছিল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম, যার হার ছিল ০.৭৮। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এই হার আরও কমে ০.৬৫-এ নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য পূর্ব এশীয় দেশগুলোও বয়স্ক জনসংখ্যার বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছে। যদিও ইউরোপের কিছু দেশ অভিবাসনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চীন এই ক্ষেত্রে অভিবাসনের ওপর তেমন গুরুত্ব দেয়নি।