ঘটনাটি জুলাই মাসের। নাইরোবির এক ময়লার ভাগাড় থেকে পাওয়া ৯ নারীর ছিন্ন-ভিন্ন মরদেহ কেনিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত কলিন্স জোমাইসি খালুশাকে আটক করা হয়েছে। তিনি দুই বছর ধরে একই কায়দায় ৪২ নারীকে হত্যা করেছেন।
তবে, কেনিয়া পুলিশ এই ভয়ঙ্কর খুনীকে এক মাসের বেশি সময় ধরে হেফাজতে রাখতে সক্ষম হয়নি। মঙ্গলবার সকালে নাইরোবির একটি পুলিশ স্টেশনের ছাদে থাকা কাঁটাতারের বেড়া কেটে পালিয়ে যায় খালুশা ও আরও ১২ বন্দি। আটকের পর থেকেই খালুশা সেখানে ছিল।
এ ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা চলছে। অভিযোগ উঠেছে যে, থানার ভেতরের কেউ পালাতে সাহায্য করেছে খালুশাকে। ভারপ্রাপ্ত আইজিপি গিলবার্ট মাসেংগেলি বলেছেন, “গিগিরি পুলিশ স্টেশনে বন্দিদের পালানোর একটি ঘটনা ঘটেছে। ১৩ বন্দি থানা থেকে পালিয়ে যায়, তাদের মধ্যে সিরিয়াল কিলিংয়ের অভিযুক্ত খালুশা ছিল।”
পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে থানার আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, খালুশাকে ধরতে ব্যাপক তৎপরতা চলছে।
এর আগেও, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে কেনিয়ার পুলিশ অভিযুক্ত হয়েছে। দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঘটনায়ও পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।