শিরোনাম

টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছালো আর্জেন্টিনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

মার্টিনেজ যেন টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের জন্য সাক্ষাৎ যমদূত। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের জন্যও তিনি একইরকম ভয়ানক প্রমাণিত হয়েছেন। শেষ মুহূর্তে ইকুয়েডর সমতায় ফিরলেও, মার্টিনেজের বীরত্বের কারণে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয় পেলো আর্জেন্টিনা।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়। ইনজুরির কারণে শঙ্কা থাকলেও মেসি আর্জেন্টিনার একাদশে ফিরে আসেন, আর ডি মারিয়া জায়গা হারান। আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। বল দখলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও, ইকুয়েডরই বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করে। তাদের একজন ভালো ফিনিশার থাকলে অন্তত দুই গোলে পিছিয়ে থাকতো আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান কাইসেদো। ডি-বক্সের সামান্য ভেতর থেকে নেওয়া দুর্বল শট সহজেই তালুবন্দি করেন এমি মার্টিনেজ।

১৫ মিনিটের মাথায় আবারও সুযোগ পায় ইকুয়েডর। ডান দিক দিয়ে দুর্দান্ত আক্রমণ করলেও, বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে একজন ডিফেন্ডারকে কাটানোর পরও গোলকিপার মার্টিনেজকে পরাস্ত করতে পারেননি পায়েজ।

১৭ মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়ার ক্রস থেকে প্রেসিয়েদোর দুর্বল শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

২৬ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। মলিনার দারুণ ক্রস থেকে খালি জায়গায় হেড করার সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মারেন এনজো ফার্নান্দেজ।

৩৩ মিনিটে মেসির দারুণ ডিফেন্স চেরা পাস থেকে এনজো ফার্নান্দেজ ডি-বক্সের ভেতর বল টেনে নিয়ে গেলেও তার শট ব্লক করে দেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। কর্নার পায় আর্জেন্টিনা, আর সেই কর্নার থেকেই অবশেষে গোল পায় তারা।

মেসির কর্নার থেকে ম্যাক অ্যালিস্টার হেড করলে বল যায় ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজের কাছে। ভেসে আসা বলে মার্টিনেজের দারুণ হেডে আর্জেন্টিনা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

৪৩ মিনিটে বাঁ-পাশ থেকে আক্রমণে এনজো ফার্নান্দেজ দারুণ বল ক্রস করলেও তাতে পা ছোঁয়াতে পারেনি আর্জেন্টিনার কেউ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৫৪ মিনিটে এমি মার্টিনেজের কিক থেকে বল ডি-বক্সের ভেতর পেলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন লাওতারো।

৫৯ মিনিটে কর্নার থেকে ডি-বক্সের ভেতর হেড দিতে গিয়ে রড্রিগো ডি পলের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। তবে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ইকুয়েডরের খেলোয়াড়।

৬৮ মিনিটে প্রথম গোলমুখে শট নেন লিওনেল মেসি। তার ডান পায়ের শট সোজা গোলরক্ষকের হাতে গেলে সেটি রুখে দেন তিনি।

৯২ মিনিটে ইকুয়েডরের কেভিন রড্রিগেজ গোল করে ম্যাচ সমতায় ফেরান। অতিরিক্ত সময়ের নিয়ম না থাকায় ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়।

টাইব্রেকারে আবারও এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বীরত্ব দেখান এবং আর্জেন্টিনা জিতে যায়। প্রথম পেনাল্টি মিস করেন মেসি, কিন্তু মার্টিনেজ টানা দুটি পেনাল্টি রুখে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে ফেরান। শেষ পেনাল্টিতে নিকোলাস ওটামেন্ডি গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন।

No tags found for this post.