প্রথম টাইব্রেকার নিতে আসেন ফেদে ভালভার্দে। কোনো ভুল করেননি তিনি। অ্যালিসন বেকার বামপ্রান্তে ঝুঁকলেও বলের নাগাল পাননি। ব্রাজিল প্রথম শটটাই মিস করে, এডার মিলিটাওয়ের শট ফিরিয়ে দেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক সার্জিও রকেট। উরুগুয়ে দ্বিতীয় শটেও সফল হয়। ব্রাজিলের আন্দ্রেস পেরেইরা দ্বিতীয় শটে গোল করে আশা বাঁচিয়ে রাখেন।
তৃতীয় শটেও গোল পায় উরুগুয়ে, তবে ব্রাজিল আবার মিস করে। ফলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু অ্যালিসন উরুগুয়ের চতুর্থ শট ফিরিয়ে ব্রাজিলের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লিও হতাশ করেননি। তবে পঞ্চম শটেই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয় উরুগুয়ে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয় ব্রাজিল।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ, রোনাল্ড আরাওহোর সঙ্গে রাফিনহার বাকবিতণ্ডা, সেখানে আবার সতীর্থদের জড়িয়ে পড়া; অনেক কিছুই ছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথমার্ধে। গোলটাই শুধু অনুপস্থিত ছিল। ডারউইন নুনেজ আর রদ্রিগোদের কয়েকটি সুযোগ নষ্টে বাড়তে থাকে ম্যাচের উত্তেজনা। ১০ মিনিটের মাথায় নুনেজ একটি সুযোগ নষ্ট করেন, সেটাকে সুযোগ নষ্ট বলা যায় না কারণ বলের গতি এত বেশি ছিল যে, ঠিকঠাক মাথা লাগাতে পারেননি তিনি। অ্যালিসন বেকার হয়তো তখন হাফ ছেড়ে বাঁচেন।
২৮ মিনিটে ব্রাজিল ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি করে। ডি বক্সের ভেতর এন্দরিক বল বাড়িয়ে দেন রাফিনহাকে। কিন্তু রাফিনহা বলের কাছে যাওয়ার আগেই বিপদমুক্ত করে উরুগুয়ে। মিনিট কয়েক পর নুনেজের হেড যায় ব্রাজিলের পোস্টের কয়েক হাত ওপর দিয়ে। পরক্ষণেই কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে ব্রাজিল দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্রাজিল ও উরুগুয়ে আরও কয়েক বার গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি।
প্রথমার্ধের বাকবিতণ্ডা ছাড়িয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধের উত্তেজনা। কয়েক বার হাতাহাতিও হয় দুদলের মধ্যে। কিন্তু চির আকাঙ্খিত গোলটি পাওয়া যাচ্ছিল না। ৭৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। রদ্রিগোকে পেছন থেকে ট্যাকেল করে নাহিতান নান্দেজ প্রথমে হলুদ কার্ড পেলেও ভিএআর রিভিউয়ের পর লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
১০ জনের দলে পরিণত হলেও উরুগুয়ে রক্ষণে ধৈর্য্যের পরিচয় দেয়। বারবার আক্রমণ সামলে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ব্রাজিলকে আটকে রাখতে সক্ষম হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে উরুগুয়ে বিজয়ী হয় এবং ব্রাজিল বিদায় নেয়।