লক্ষ্য ছিল ১১৬ রান অর্জন করা। সেমিফাইনালে প্রবেশ করতে হলে বাংলাদেশের এই রান প্রায় ১২.১ ওভারে অর্জন করতে হতো। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ এই লক্ষ্যের সাথে ম্যাচে মাঠে নেমেছিল। তবে, ৩ উইকেট হারানোর পর দলের মধ্যে তারা এই লক্ষ্যের চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। শেষে বাংলাদেশ এই সমীকরণটি অর্জন করতে পারেননি এবং ম্যাচটিও হারে শেষ হয়েছিল।
বাংলাদেশকে হারিয়ে আফগানিস্তান উঠে গেছে সেমিফাইনালে। বাংলাদেশ দলের অধিনে থাকা ওপেনার তামিম ইকবাল মনে করেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর ক্রিকেট ম্যাচের ১২.১ ওভারে আফগানিস্তানের ১১৫ রান অর্জন করা টার্গেটকে তাড়া করতে উচিত ছিল।
ইএসপিএনক্রিকইনফোকে তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘আমার মতে, বাংলাদেশ অনেক হতাশ হবে। বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়া করা ছিল যেটা নিয়ে ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়েছিল। যদি সেই পর্যন্ত বাংলাদেশ ৭০-৮০ রানেও অলআউট হয়ে যেত, তাহলে আমাদের কোনো সুযোগ থাকতো না। বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ ছিল, কিন্তু এর সুযোগটি খুব বেশি আসে না।’
সুপার এইটে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে। তবে এই হারের পর বাংলাদেশের সমীকরণ হোল যে, আফগানিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে হারের পর তাদের সেমিফাইনালে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সংক্রান্তে তামিম বলেছেন, ‘সুপার এইটে একটি ম্যাচ জিতে শেষ ম্যাচে আপনার সামনে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকে। আমরা আশা করব যে, এই লক্ষ্য অর্জনে সবকিছু করব। তবে মধ্যবর্তীতে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ রান তাড়া করে অর্জন করতে পারে। কিন্তু এরপরে উইকেট হারিয়ে কিছু অভাব ছিল, যেটা কারণে বাংলাদেশের জন্য কাজ কঠিন হয়ে গেল।’
তামিম ইকবাল যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সামনে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু বাংলাদেশ যদি ৩০-৪০ রানে হেরে যেত, তাহলে রান তাড়া করার চেষ্টা করলেও সমর্থকেরা বুঝত, সুযোগটি পারত নি। আমরা ম্যাচটাও জিততে পারিনি, তাড়া করার চেষ্টা করিনি। সত্যিই, এখন সবাই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।’
গতকাল রান তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং কৌশলের উপর অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছিল। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন প্রকাশ করেছেন, দ্রুত উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যেতে সমর্থ হননি।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে প্রথম ৬ ওভারে ভালো শুরু করব। তবে যখন আমরা দ্রুতই ৩ উইকেট হারিয়ে গেলাম, তখন পরিকল্পনার পথ বদলে যায়— আমরা ম্যাচটা জিততে চেষ্টা করব। কিন্তু এই ম্যাচে মিডল অর্ডারের ভালো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, যা বাংলাদেশের জন্য পরিকল্পনাটি অসফল করে দিয়েছিল।’