টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দুটি ম্যাচেই হারিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র দলের হাতে হারে চমকে দিয়েছিলেন এবং ভারতের বিপক্ষে ১১৯ রানের তাড়াৎ থেকে জিততে পারেননি।
এই পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানে সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি একরকম হুমকি দিয়েছেন। জিও নিউজ জানিয়েছে যে, পাকিস্তানের একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেলে আফ্রিদি বলেছেন যে খুব শিগগিরই তিনি পাকিস্তানের বর্তমান টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের ভেতরের খবর ফাঁস করবেন।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলে আফ্রিদির কাছে পাকিস্তান জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঐক্যের অভাব নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। পাশেই অতিথি চেয়ারে বসে থাকা ২২ বছর বয়সী তরুণ পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমকে দেখিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, “সে অনেক কিছুই জানে। আমিও জানি। কিন্তু আমরা খোলামেলাভাবে সব বলতে পারি না।
ওয়াসিম পাকিস্তানের হয়ে ২টি টেস্ট, ২৯টি টি–টোয়েন্টি এবং ২০টি ওয়ানডে খেলেছেন। গত জানুয়ারিতে তিনি পাকিস্তানের দলের সর্বশেষ ম্যাচে খেলেছেন।
আফ্রিদি বলেন, দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঐক্য, একে অপরের সঙ্গে কীভাবে থাকবে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব অধিনায়কের। অধিনায়ক হয় দলে ইতিবাচক মানসকিতা তৈরি করবেন না, তার পরিণামে সেটি নষ্ট করবেন বলেই মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। তিনি মনে করেন, কোচ ও ম্যানেজমেন্টের আগের দলকে একসূত্রে গাঁথার দায়িত্ব অধিনায়কের। ‘দলকে মাঠে লড়াই করানোর দায়িত্ব অধিনায়কের।
আফ্রিদির জামাতার পাকিস্তানের তারকা পেসার হলেন শাহিন আফ্রিদি। শাহিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা অন্য রকম বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই অলরাউন্ডার, ‘আমি কিছু বললে লোকে বলবে আমি জামাতার পক্ষে কথা বলছি। কিন্তু সেটা নয়। যদি আমার কন্যা, ছেলে কিংবা জামাতা ভুল করে, আমিও সেটাকে ভুলই বলব।
পাকিস্তানের হিসেবে ২৭টি টেস্ট, ৩৯৮টি ওয়ানডে এবং ৯৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন আফ্রিদি। তিনি মনে করেন যে, গত কয়েক বছরে পিসিবির নির্বাচন কমিটি “কিছু বড় ভুল করেছে”। আফ্রিদি এই বিষয়ে আরও কথা বলতে ইচ্ছুক। তাঁর ওপর প্রশ্ন করা গেলে তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপের পর আমি খোলামেলাভাবে সব বলব। আমাদের লোকেরা এই দলটিকে নষ্ট করেছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পাকিস্তান সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনায় সঙ্কটে রয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে পাঁচটি দলের পয়েন্ট তালিকায় পাকিস্তান এখনো পুরোটাই পাইনি, অবস্থান চতুর্থে। এখনো তাঁদের কোনও পয়েন্ট নেই। তারা রান রেটে পিছিয়ে গ্রুপের শীর্ষের পদক্ষেপে পূর্বে কোনও ম্যাচে পয়েন্ট পাইনি আইরল্যান্ডে। ভারত দুটি ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় অবস্থায় রয়েছে। ২ ম্যাচে একটি জয় নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কানাডা।