লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সাধারণ নির্বাচনে তার দল নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পর শুক্রবার, স্থানীয় সময় অনুযায়ী, বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো লেবার পার্টি থেকে কেউ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হলেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন স্টারমার। তিনি বলেন, জনগণ সুচিন্তিতভাবে পরিবর্তন এবং সেবামূলক রাজনীতির জন্য ভোট দিয়েছে। তবে, এই পরিবর্তনের জন্য সময় লাগবে। কোনো দেশকে পরিবর্তন করা সুইচ টেপার মতো নয়; এর জন্য সময় প্রয়োজন হবে। তবে পরিবর্তনের জন্য কাজ শুরু করা হবে।
নতুন বিদ্যালয় ও ঘর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার মতো খেটে খাওয়া পরিবারগুলো যাতে জীবন চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।”
৬১ বছর বয়সী কিয়ার স্টারমার রেইগেট গ্রামার স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব লিডস এবং ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে পড়ালেখা করেছেন। তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ডার এনএইচএসের একজন ওকুপেশনাল থেরাপিস্ট। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে স্টারমারের সংসদীয় আসন হলবর্ন ও সেন্ট পানক্রাস।
স্টারমার নিজেকে শ্রমিক শ্রেণির একজন হিসেবে পরিচয় দেন। তার বাবা ছিলেন টুলমেকার এবং মা একজন নার্স। ২০১৫ সালে উত্তর লন্ডনের হোলবর্ন ও সেন্ট পানক্রাস থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর, ২০২০ সালের এপ্রিলে স্যার কিয়ার স্টারমার লেবার পার্টির নেতা হন।