উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন আটালান্টাকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৬ বার সুপার কাপ জয়ের রেকর্ড নিজের নামে করল লস ব্লাঙ্কোসরা। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাঠে নামলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, যিনি অভিষেক ম্যাচেই গোল করে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) পোল্যান্ডের ওয়ারশের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আতালান্তার বিরুদ্ধে মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে গোলের জন্য তিনটি শট নেওয়া হলেও কোনোটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ১০টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখে তারা। পুরো ম্যাচে আতালান্তার ৭ শটের মধ্যে ২টি লক্ষ্যভ্রষ্ট ছিল।
ম্যাচের ১৫তম মিনিটে রিয়াল প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। ভালভার্দের পাসে বক্সে এমবাপ্পের শট আটালান্তার ডিফেন্ডার ঠেকিয়ে দেন। ২৪তম মিনিটে রিয়াল গোল খেতে বসেছিল, যখন মার্টেন ডে রুনের ক্রস ক্লিয়ার করার চেষ্টায় রিয়াল ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও বল ক্রসবারে ঠেকান।
বিরতির আগে রিয়াল মাদ্রিদ একটি দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে। ১০ গজ দূর থেকে রদ্রিগোর শট ক্রসবারে লাগে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে বেশ আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়াস ও এমবাপ্পের সহযোগিতায় একের পর এক আক্রমণে আতালান্তাকে চাপে ফেলে তারা। ৫৯ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন ফেডরিকো ভালভার্দে। বাঁ দিকে বাইলাইনের কাছাকাছি ভিনিসিয়াস জুনিয়র বলটি ভালভার্দের দিকে পাঠান। সময় নষ্ট না করে ঠান্ডা মাথায় বলটি জালে পাঠান ভালভার্দে, রিয়ালকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন।
এরপর ৯ মিনিট পর কিলিয়ান এমবাপ্পে আবারও রিয়ালকে এগিয়ে দেন। জুড বেলিংহ্যামের পাসে ডান পায়ের শটে গোল করেন এমবাপ্পে, রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে তার অভিষেক ম্যাচেই গোল করে নতুন অধ্যায় শুরু করেন তিনি।
৮৩তম মিনিটে এমবাপ্পেকে তুলে ব্রাহিম দিয়াসকে মাঠে নামান আনচেলত্তি। শেষের দিকে বেলিংহ্যাম ও ভিনিসিয়াসকেও তুলে নেওয়া হয়। তবে রিয়াল মাদ্রিদকে জয় নিয়ে ভাবতে হয়নি। আগামী রবিবার রিয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করবে আনচেলত্তির দল। ।