দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানুষরা পারমাণবিক অস্ত্রের দানবীয় রূপ দেখেছিলেন। মানুষ এই দুর্যোগ দেখতে চাইবে না এবং এর সহিংসতা স্বপ্নের চেয়েও বেশি হবে, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হয়। এই কারণে মানুষরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিষয়ে আতঙ্কিত হচ্ছেন। তবে, সাম্প্রতিকতম ঘটনাগুলি যেমন ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তাদের মধ্যে যুদ্ধ এই আশঙ্কার বাইরে পৌঁছেছেন। তবে, অনেকের মনে প্রশ্ন, কী এখনও একটি যুদ্ধ অবশিষ্ট আছে কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর কখন হবে, সেটা এখনো কেউ জানানো নেই।
তবে, সাম্প্রতিকভাবে অশান্ত মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেভাবে প্রভাব বাড়ছে রাশিয়া ও ইরান, এতে অনেকেই আরও একটি যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ধারণ করেছেন। তবে, সে যুদ্ধের কবে হবে তা কেউ আগে বলেননি।
তবে, সম্প্রতি একজন ভারতীয় জ্যোতিষী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছেন। তার মতে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে বাকি আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ। এই ভবিষ্যদ্বাণীটি করেছেন ভারতীয় জ্যোতিষী কুশল কুমার।
সম্প্রতি তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন যেখানে বলেছেন, ২০২৪ সালে একটি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে গোটা বিশ্বে। কোরিয়া, চীন, তাইওয়ান, মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া এই দেশগুলি আরও মারাত্মক যুদ্ধের সম্মুখীন হবে।
কয়েকটি দেশে আবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যে সেখানে শাসন কর্ষমতায় থাকা দলগুলির ক্ষমতা ধরে রাখতে রীতিমতো বেগ পেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অনেক রাষ্ট্রনেতা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।
কুশল কুমারের এই ভবিষ্যদ্বাণী সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই ভাইরাল হয়েছে। আগেও একাধিক জ্যোতিষী ভারত সহ গোটা বিশ্বের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, কিন্তু এই বারের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী আরও উজ্জ্বল হয়েছে। এখন সময়ে জ্যোতিষীদের প্রেক্ষিতে একটি দুর্বল সময় চলছে, সমসাময়িক গ্রহের গতিবিধি প্রভাবিত করে। সেই প্রেক্ষিতে তারিখ প্রকাশ করেন এই জ্যোতিষী যে মনে করেন বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে। তাঁর রিপোর্টে এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, ‘এখন WW3 ট্রিগার করার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রহের উদ্দীপনার তারিখ হল মঙ্গলবার ১৮ জুন, ২০২৪। যদিও ১০ এবং ২৯ জুনও এর প্রকাশ ঘটতে পারে।’
এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মধ্যে যে মানুষের সংখ্যা বেশি তাদের মধ্যে এই ধারণা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু সত্যি কি এই যুদ্ধ হবে, সেটা বাস্তবায়ন পেতে হবে সময়ের সাথে।