বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যার মামলায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানা ও আদাবর থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনের সময় মিরপুর মডেল থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাকে আপাতত পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়ার আগে সোমবার রাত ১টা ২১ মিনিটে ব্যারিস্টার সুমন তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন, “আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। সবাই দোয়া করবেন।” এছাড়াও তিনি তার পেজ থেকে একটি ভিডিও বার্তা দেন। ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে তিনি জানান, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও তিনি দেশত্যাগ করেননি। তিনি বলেন, “আমি এখনো দেশেই আছি, ঢাকা শহরেই আছি। তবে নিরাপত্তার কারণে নিজের অবস্থান গোপন রেখেছি।”
ভিডিওতে ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, “দেশ সংস্কারের জন্য কাজ করার সুযোগ পেলে আমি তা করব। আমি অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, যার মধ্যে বর্তমানে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এর সূচনা আমি নিজেই করেছি।”
তিনি আরও দাবি করেন, সংসদ সদস্য হিসেবে তার সীমিত সময়কে তিনি দেশের মানুষের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে কোনো অনৈতিক কাজে লিপ্ত হননি বা অবৈধ সম্পদও অর্জন করেননি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলে, আমি যেহেতু আইনজীবী, তাই আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। আমি আইনগত উপায়ে এর মোকাবেলা করব।”
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার সুমন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে প্রাক্তন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন, ফলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।