মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গরুর মাংসের দাম এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তিনি মাংস, ডিম এবং দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী।
ফরিদা আখতার বলেন, গরুর মাংসের দাম এখনও নাগালের বাইরে। অনেকে বলছেন, মাংস আমদানি করে সুলভ মূল্যে সরবরাহের কথা। কিন্তু আমার প্রশ্ন, কেন আমদানি করতে হবে? কেনই বা আমরা মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারছি না?
মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সম্পর্কেও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ভুল-ত্রুটি হওয়ায় আহতদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দাবিগুলো যৌক্তিক, আর তাই তারা হাসপাতাল ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন। যেকোনো মূল্যে সরকার তাদের দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ফরিদা আখতার আরও বলেন, “ভোর পর্যন্ত আমি ক্ষুব্ধ আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেকেই এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি, তবে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
তিনি মনে করেন, চিকিৎসাধীনদের জন্য নির্ধারিত এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয়। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আহতদের পুনর্বাসনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে, কারণ তাদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের ত্যাগের কারণেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আহতদের সঙ্গে আবার বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং সেখানে সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের দেখতে গেলে তিনি আহতদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েন। আহতরা রাস্তায় নেমে প্রায় ১১ ঘণ্টার জন্য অবরোধ করেন। পরে উপদেষ্টাদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।