শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে ‘ডানা’, সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ডানায় পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের সকল সমুদ্র বন্দরে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত প্রদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-৪ এ এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত তুলে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যেন স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলেও এর প্রভাব খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপর ভালোভাবে পড়বে। এর প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং উপকূলে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।