শিরোনাম

সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সুষ্ঠু নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া কোনো সংস্কার কার্যকর হতে পারে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

আজ (৩০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয় বরং আপনাদের প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

মির্জা ফখরুল ড. ইউনূসের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, এই দেশের মানুষ আপনাকে সম্মান দেয়, দিতে চায়। আপনি যেন আপনার জায়গা নষ্ট না করেন, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।

এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ১৭ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে।

মির্জা ফখরুল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, যাদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, এবং সেই সব রাজনৈতিক দলের প্রতি সম্মান জানান যারা আওয়ামী “ফ্যাসিস্ট” সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গেছে।

তিনি আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে বলেন, “এদের চরিত্রে জঙ্গি এবং সন্ত্রাস দুটিই রয়েছে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে সরকার। সেই নির্বাচনে যেন জনগণ ভোট দিতে পারে এবং নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে পারে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিটি ঘোষণা করেছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল।”

রাজনৈতিক সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “রাজনৈতিক সংগ্রাম চলতে থাকে, সংস্কার কার্যক্রমও চলমান থাকে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সরকার দ্রুত সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট জনগণের সামনে তুলে ধরবে এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।