শিরোনাম

হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই: হাসনাত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে
ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেছেন, শেখ হাসিনাকে জনগণের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে, তাই তার পদত্যাগপত্রের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে; জনগণ একটি অবৈধ সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়েছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।”

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। যদিও শুরুতে এ আলোচনা সীমিত ছিল, পরে শেখ হাসিনার একটি অডিও কল ফাঁস হওয়ার পর বিতর্কের নতুন মোড় নেয়। অডিওতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, দেশ ছাড়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।

তবে সে সময় সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে কোনো সরকারপ্রধান সাধারণত ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করেন না। বরং বেশিরভাগ সময় তারা পালিয়ে যান অথবা গ্রেপ্তার হন।

নতুন করে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কথোপকথন থেকে। রাষ্ট্রপতি সে সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, “চারদিকে অস্থিরতার খবর শুনছি। আমি গুজবের ওপর নির্ভর করে থাকতে পারি না। সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে খোঁজ নিতে বলি, কিন্তু তার কাছেও কোনো খবর ছিল না। টেলিভিশনের স্ক্রলে কিছুই দেখাচ্ছে না। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন। আমাকে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করেননি।”

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “যাই হোক, যখন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার বঙ্গভবনে আসেন, তখন জানতে চেয়েছিলাম শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি না। সেখানেও একই উত্তর পাই—শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু জানানো হয়নি। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদত্যাগপত্রের কপি খুঁজতে এলে আমি তাকে বলি, আমিও খুঁজছি।”

প্রেসিডেন্ট বলেন, “এ নিয়ে আর কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা চলে গেছেন এটাই সত্য। তবু যাতে এ বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়েছি।”