গত ৫ আগস্ট হাসিনার সরকার পতনের পর দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন স্তরে সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সচিবালয় ঘেরাও এবং অভ্যন্তরে কয়েকবার হট্টগোলের ঘটনাও ঘটেছে। প্রায় দুই মাস আগে, বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছিল অন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ (বুধবার) সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সচিবালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ‘করিডোর ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন।
এই আন্দোলনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেছেন, যা হলো:
১. সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো ও কাজের ধরন অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার থেকে আলাদা। তাই সচিবালয়ে কর্মরতদের জন্য আলাদা পদবী থাকা প্রয়োজন।
২. দেশের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার পদ সৃজন/রূপান্তর করা হয়েছে। তাই সচিবালয়ে কর্মরতদের পদবীর ভিন্নতা আনতে হবে।
৩. বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা মাঠপ্রশাসনে দায়িত্ব পেলে তাদের পদবী হয় ‘সহকারী কমিশনার’ এবং সচিবালয়ে দায়িত্ব পেলে হয় ‘সহকারী সচিব’। একইভাবে, বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত ক্যাডার বহির্ভূতদের পদবীও মাঠপ্রশাসন ও অন্যান্য দপ্তর থেকে আলাদা হওয়া প্রয়োজন।
৪. কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’-এ কর্মরতদের পদবী অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরতদের পদবীর সঙ্গে ভিন্ন। একইভাবে, কেন্দ্রীয় প্রশাসন হিসেবে সচিবালয়ের পদবীও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পদবীর সঙ্গে ভিন্ন থাকা দরকার।
৫. সুপ্রিম কোর্টে কর্মরতদের পদবী নিম্ন আদালতের কর্মরতদের থেকে ভিন্ন। একইভাবে, সচিবালয়ের পদবীও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পদবী থেকে আলাদা হওয়া প্রয়োজন।