শিরোনাম

জনতা ব্যাংক থেকেই সালমান এফ রহমানের ঋণ ২৫ হাজার কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে
জনতা ব্যাংক থেকেই সালমান এফ রহমানের ঋণ ২৫ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, এবং লুটপাটের সাথে বেক্সিমকো গ্রুপ ও সালমান এফ রহমানের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিশেষ করে জনতা ব্যাংককে তিনি উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় এক চতুর্থাংশ (২৫.৫১%)। ঋণ প্রদানে একক ঋণগ্রহীতার সীমা লঙ্ঘন করে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ বেক্সিমকো গ্রুপের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই ঋণের একটি বড় অংশ বর্তমানে খেলাপির পথে, যার ফলে জনতা ব্যাংক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

২০১৫ সালে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি। ২০২০ সালে এই ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে ৬ হাজার কোটিতে, এবং পরবর্তী সাড়ে তিন বছরে তা প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায়। ঋণ পেতে বেক্সিমকো গ্রুপ এক বছরে ৯টি নতুন কোম্পানি তৈরি করে, যার মধ্যে ৮টি কোম্পানি এক মাসের মধ্যে খোলা হয়। প্রভাব খাটিয়ে এই নতুন কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছেন সালমান এফ রহমান।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, জনতা ব্যাংকের অবস্থার অবনতি এতটাই হয়েছে যে, পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দিয়েছে, তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের মতে, কাগজপত্রে কোম্পানি তৈরি করে এসব অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং এসব অনিয়মের তদন্ত হওয়া উচিত।

এছাড়াও, মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও বেক্সিমকোর ঋণ খেলাপি করা হয়নি, বরং দফায় দফায় পুনঃতফসিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বেক্সিমকোর ঋণের অনাপত্তি প্রদান করেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকাদার ব্যাংক লুটপাটের সহযোগিতা করেছেন এবং অনিয়ম বন্ধ না করে ব্যাংকিং খাতকে দুর্বল করেছেন।

খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বিভিন্নভাবে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে এবং ব্যাংক দুর্বলতার দায় তাদের ওপরও বর্তায়। নিয়ম লঙ্ঘন করে বেক্সিমকো গ্রুপের নেয়া ঋণ আদায় অনেকটাই অনিশ্চিত।

  • dailyusharbani
  • ঊষারবাণী
  •   local-nogod-300-x-250