শিরোনাম

সারা দেশে আজ ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’, জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে
সারা দেশে আজ ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’, জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে সম্পূর্ণ শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এই কর্মসূচির আওতায় শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে।

‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে’ এই কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

জরুরি সেবার আওতায় গণমাধ্যমের গাড়ি ও সংবাদপত্র পরিবহনের গাড়ি বাধাহীনভাবে চলতে পারবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে আগামীকাল ১৮ জুলাই সারা দেশে সম্পূর্ণ শাটডাউন ঘোষণা করছি। শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না, এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।’

আসিফ মাহমুদ সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। তিনি লেখেন, ‘আমাদের অভিভাবকদের বলছি, আমরা আপনাদের সন্তান। আমাদের পাশে দাঁড়ান, রক্ষা করুন। এই লড়াই শুধু ছাত্রদের নয়, এটি দলমত-নির্বিশেষে দেশের আপামর জনসাধারণের।’

কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম প্রথম আলোকে বলেন, কমপ্লিট শাটডাউন বলতে তাঁরা ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ বুঝিয়েছেন।

সারজিস আলম আরও বলেন, গণমাধ্যমের গাড়ি ও সংবাদপত্র পরিবহনের গাড়ি জরুরি সেবা হিসেবে অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে, অর্থাৎ, এগুলো চলতে পারবে।

গতকাল দিনভর উত্তপ্ত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে অবস্থান ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। দুপুর থেকে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য সাঁজোয়া যান নিয়ে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত কফিন মিছিল শুরু করা মাত্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলা চালায়। এ সময় দুই পাশ থেকে সম্মিলিত আক্রমণের মধ্যে পড়ে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী, যার মধ্যে কয়েকজন নারীও আছেন, আহত হন। আহত হয়েছেন ১০ জন সাংবাদিকও। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হামলায় আহত হয়ে গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন আরও ৩৫ জন।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিনেও রাজধানীসহ দেশের অন্তত ১০টি জেলায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অন্তত ১০টি স্থানে সড়ক ও মহাসড়ক এবং দুই স্থানে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

  • dailyusharbani
  • ঊষারবাণী
  • কোটাবিরোধী আন্দোলন
  •   local-nogod-300-x-250