কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এর ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার কমে যায়। তবে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। বিশেষ করে ইতালি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রবাসী ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এই প্রবাহ আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করেন।
জানা গেছে, ইতালিতে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। গেল সপ্তাহে ১ কোটি ৭৭ লাখ রেমিট্যান্স পাঠানো হলেও, চলতি সপ্তাহে এই সংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ৫৯ লাখে পৌঁছেছে। গত বছর সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৬৬ মিলিয়ন ইউরো রেমিট্যান্স পাঠানো হলেও, এ বছর সেই রেকর্ড ভাঙার পথে রয়েছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে, এই বছর ইতালি থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসেই ইতালি থেকে ২৯ কোটি ১৩ লাখের বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে।
একজন মানি এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, চলতি সপ্তাহে ইতালির প্রবাসী বাংলাদেশিরা আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।