আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রোববার (২৩ জুন) সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর দলের অন্যান্য নেতারাও শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে দলের জন্ম হয়। ছয় বছরের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নতুন নাম রাখা হয় আওয়ামী লীগ।
ছেষট্টির ৬ দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একাত্তরে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে।
বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০০৯ সাল থেকে টানা চার দফায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে দলটি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার, জঙ্গিবাদ নির্মূল, ছিটমহল বিনিময় এবং ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রজয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
এসবই মুদ্রার এক পিঠের গল্প। মুদ্রার অপর পিঠে বিরোধী পক্ষের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, সব সমালোচনা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই অতীতের মতো ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।
দলটির ২৫ ও ৫০ বছর পূর্তির মতো ৭৫ বছর পূর্তিতেও সরকারে রয়েছে আওয়ামী লীগ। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সমর্থকের সংখ্যাও কম নয়। তবে সত্যিকার অর্থে কত বেশি সমর্থক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করছেন, সেই প্রশ্নের উত্তরেই নিহিত থাকবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ।