আওয়ামী লীগ নেতার ঘোষিত পুরস্কারের আশায় ফরিদপুরে জীবিত একটি রাসেলস ভাইপার ধরেছেন কৃষক রেজাউল খান (৩২। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সাপটি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে নিয়ে আসা হয়।
প্রতিটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) ধরার বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ। এই ঘোষণা তিনি গত বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তুতি সভায় দেন।
রেজাউল খান সাংবাদিকদের জানান, গতকাল বিকেলে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় তিনি রাসেলস ভাইপারটি দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেটিকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকের নেট দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দেন।
পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন বলেন, বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে বলেন।
তবে আজ রোববার দুপুরে যখন ওই সাপ জমা দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নেওয়ার জন্য বন বিভাগে নেওয়া হয়, তখন বন বিভাগ পত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। কৃষক রেজাউল খান ফরিদপুর সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, সরীসৃপজাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ। কারও জালে আটকে গেলে সেটি ভিন্ন কথা। তিনি আরও বলেন, “আমি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দিতে পারি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত তিনজন পুরস্কারের আশায় বন বিভাগে এক হাত লম্বা দৈর্ঘ্যের বাচ্চা রাসেলস ভাইপার জমা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আমরা বিপদে পড়েছি।”