“ধ্বংস চাই না, শান্তি চাই। ছাত্র ও তরুণরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করতে হবে,” বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি প্রথমবারের মতো এই সমাবেশের আয়োজন করেছে। এতে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। সাত বছর পর এদিন জনতার সামনে কথা বললেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির পর তিনি গণমাধ্যমে কিংবা জনসাধারণের সামনে আর বক্তব্য রাখেননি।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসীবাদী সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই বিজয় আমাদের নতুন সংগ্রামে নিয়ে এসেছে। প্রতিশোধ বা প্রহিসংতা নয়, আসুন আমরা ভালোবাসা ও শান্তির বাংলাদেশ গড়ে তুলি। এখন আমাদের কাজ হলো সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করা। তরুণদের শক্তিশালী করতে আমাদের একত্রিত হতে হবে।”
প্রসঙ্গত, দুই বছরেরও বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেদিন বিকেলে বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। পরদিন, মঙ্গলবার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।