শিরোনাম

নাশকতা নয়, পলকের নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়: আইএসপিএবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৬ মাস আগে
নাশকতা নয়, পলকের নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় : আইএসপিএবি

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, মহাখালীর খাজা টাওয়ারে সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, যার কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এ তথ্যকে মিথ্যাচার হিসেবে দাবি করেছে। তাদের মতে, ইন্টারনেট বন্ধ করার মূল কারণ ছিল পলকের মৌখিক নির্দেশ এবং সরকার দলের লোকজনের হামলা।

আইএসপিএবি বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে মহাখালীর আমতলী এলাকায় খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। ওই সময় ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল, পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি একই টাওয়ারে আগুনের কথা সামনে এনে পুরো দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টারের ওপর চাপানো হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টার তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু আইএসপিএবি এবং বিটিআরসি ও আইসিটি মন্ত্রণালয় বারবার ইন্টারনেট বন্ধের দায় এই ডেটা সেন্টারের ওপর চাপিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইএসপিএবির এক নেতা জানান, ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে মোবাইল অপারেটরদের থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়। বিকেল থেকে আইএসপিদেরও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করার চাপ শুরু হয়। আগুন ধরিয়ে কেবল কেটে দেওয়ার পর দ্রুত মেরামত হলেও পুনরায় ইন্টারনেট সংযোগ চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ কারণে বাধ্য হয়ে সরকারী নির্দেশ মানতে হয়েছে।