শিরোনাম

নোনা জলের আতঙ্কে মনপুরা, ভোলা!

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৭ মাস আগে
ভোলার মনপুরা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার না হওয়ায় ভোলার মনপুরা পুরোপুরি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ফলে বাসিন্দারা নোনা জলে প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে আমন ধানের চাষাবাদও হুমকির মুখে পড়েছে। কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দুর্যোগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে মনপুরার মাস্টারহাট এলাকার বাঁধটি ভেঙে যায়, ফলে মেঘনার জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে শত শত ঘরবাড়ি ও আমন ধানের জমি নোনা পানিতে তলিয়ে যায় এবং কয়েকশ পুকুরের মাছ ভেসে যায়। ভাঙা বাঁধটি মেরামত করতে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিদিন জোয়ার-ভাটার নোনা পানি ওই স্থান দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, রেমালের আঘাতে মনপুরার ৭৮ কিলোমিটার বাঁধের ১২টি স্থানে ১৬৫ মিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। এতে আরও তিন কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো কঙ্কালের মতো পড়ে আছে। কিছু কিছু স্থানে এক-দুই হাত বাঁধ অবশিষ্ট আছে, আবার কোথাও একজন মানুষের হাঁটার জায়গাও নেই।

স্থানীয়দের মতে, এই নাজুক বাঁধ প্রমত্তা মেঘনার ঢেউ থেকে মনপুরাবাসীকে রক্ষা করতে পারবে না। সামান্য ঢেউয়ের আঘাতেই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের অবশিষ্ট অংশ মেঘনায় ভেসে যাবে, ফলে পুরো বর্ষা মৌসুমে জোয়ার-ভাটায় মনপুরাবাসীকে ভাসতে হবে। নোনা জলের কারণে এলাকায় আমনের চাষাবাদও বন্ধ হয়ে যাবে।