ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) তাঁর এই তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে পূর্বে কোনো ঘোষণা দেয়া ছিল না, তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটি প্রযোজ্য হয়েছে।”
পলক বলেন, “ফেইসবুক, গুগল, ইউটিউব, টিকটক সহ সরকারের যোগাযোগ সম্পর্কে আমাদের সংযোগ রয়েছে। তবে বিতর্কিত কন্টেন্ট অপসারণ নিয়ে তাদের প্রাইভেসি পলিসি আমাদের কাছে সন্তোষজনক নয়। যদি একটি অপসারণের কারণে কোনও প্রাণহানি হয়, তাহলে এই কোম্পানিগুলিকে ছাড়া দেওয়া হবে না। তাদেরকে বাংলাদেশে ডেটা সেন্টার স্থাপন করে বাংলাদেশের আইন মেনে ব্যবসা চালাতে হবে।”
এদিকে, গতকাল বুধবার থেকেই ফোরজি কাভারেজ সীমিত করা হয়েছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে গিয়েছে।
এতে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে অনেকে প্রবেশ করতে পারছেন না। দীর্ঘ চেষ্টায় প্রবেশ করতে পারলেও কোনো বার্তা, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা যাচ্ছে না। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারি নির্দেশে এবং এটি বুধবার (১৭ জুলাই) সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছে অপারেটর কোম্পানিগুলো। অতএব, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ কলেজ এলাকায় ফোরজি সেবা সীমিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে নেটওয়ার্ক কাভারেজ সীমিত করা হয়েছে।