স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে মারণাস্ত্র প্রদান করেছিল, যা একদমই সঠিক ছিল না। রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে আহত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, “পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং তাদের এমন মারণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে যা সাধারণত সীমান্তে ব্যবহৃত হয়। এটি সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “পুলিশের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তবে আমি বলব না যে তারা কিছুই করেননি। পুলিশের এবং অন্যদের গুলিতে হাজার হাজার তরুণ নিহত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ আর কেউ পাবে না। আমি চেষ্টা করব, যারা এই নির্দেশ দিয়েছেন তাদের সনাক্ত করে আনার। দেশে না পেলেও বিদেশ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করব।”
এছাড়া, তিনি মন্তব্য করেন, “পুলিশের দায়িত্ব এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্ব আলাদা, কিন্তু তবুও তারা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন।”
নির্দেশনার পরেও যারা পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পুলিশ সদস্যদের যে দাবি ছিল, আমি নিশ্চিত করছি, সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। তবে এর জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। পুলিশ সদস্যদের বলছি, থানায় ফিরে যান। জনগণ যদি সহযোগিতা করে, দেশ দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমরা জনগণের সহায়তা কামনা করছি এবং পুলিশকেও সহায়তা করার আহ্বান করছি।”
তিনি আরও বলেন, প্রকৃত রাজনীতিবিদ গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশে , বরং চাটুকার তৈরি হয়েছে। মিডিয়ার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল ছাত্র আন্দোলনের সময়। পুলিশের বর্তমান অবস্থা মিডিয়ার কারণে হয়েছে। দেশের মিডিয়াকে এভাবে চলতে দেওয়া হবে না। যদি কোনো মিডিয়া চাটুকারিতার পথে চলে, তাহলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। যতই চেষ্টা করা হোক, তা সফল হবে না।