ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যেখানে ঘরের ছাদ বা গলা সমান পানি ছিল, এখন সেখানে কোমর সমান পানি রয়েছে। তবে দুর্ভোগ কমেনি। অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো মানুষ অবস্থান করছে, আর গ্রামে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকায় বন্যাকবলিত মানুষরা খাবার কিনতেও পারছেন না।
অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে, কারণ বন্যার স্রোতে সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, যা যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলাগুলোর কোথাও কোথাও এখনো পানি জমে আছে। যেখানে পানি নেমেছে, সেখানে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। নোয়াখালীর মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় দাগনভূঞার পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। তবে সিন্দুপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকায় এখনও বুক ও গলা সমান পানি রয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ও মোটবী ইউনিয়নে এখনও বুক সমান পানি রয়েছে, যেখানে মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন, প্রধান সড়কগুলোতে ত্রাণ পৌঁছালেও গ্রামীণ এলাকায় তা পৌঁছাচ্ছে না। ফলে অনেক বাসিন্দা চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার জানিয়েছেন, জেলায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে দেড় লাখ মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বানভাসি মানুষের কাছে খাবার পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে, এমনকি দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলায় একটি প্রধান মেডিকেল ক্যাম্পসহ ৬ উপজেলায় ৬টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি ৭টি হাসপাতালে মেডিকেল ক্যাম্প চালু রয়েছে।