শিরোনাম

বন্যায় তলিয়ে গেছে ফেনী ও কুমিল্লা অঞ্চল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে হঠাৎ বন্যার পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে, ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বন্যার কারণে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং হাজারো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পানির ফলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অবস্থার কারণে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করছে না।

গত সোমবার দুপুর থেকে মহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীতে পানির স্তর বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় এবং পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে।

বন্যাকবলিত মানুষদের উদ্ধারে বুধবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজীতে উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্পিডবোট ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চার হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া, উজান থেকে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে কুমিল্লায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে চলে গেছে এবং গোমতী নদীর পানি কুমিল্লা শহর রক্ষা বাঁধের কাছে পৌঁছে গেছে। বাঁধ ভেঙে গেলে কুমিল্লা নগরী ও বিভিন্ন এলাকার প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

গোমতী জেলার জেলা শাসক তরিৎ কান্তি চাকমা তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, গোমতী নদীর পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের পানির স্তরও বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। বাঁধ রক্ষায় গেট খুলে পানি ছেড়ে দিতে হয়েছে। ফলে, নীচু অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতর জানিয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্যে আগামী দু’দিন ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • dailyusharbani
  • ঊষারবাণী
  •