পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল আবার শুরু হয়েছে, কারণ বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে কিছু রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরোদমে ট্রেন চলাচল শুরু করতে রেলওয়ের আরও কিছু সময় লাগবে।
গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) ফেনী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন পরিদর্শন করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী ও পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরিদর্শনের পরেই আংশিকভাবে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন।
তিনি জানান, ফেনী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে ডাউন লাইনটি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম থেকে ফেনী অভিমুখে আপ লাইনটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল (১/২), কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (৩/৪), মহানগর গোধূলী/প্রভাতী (৭০৩/৭০৪), তূর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০২) এবং কক্সবাজার-ঢাকা রুটের পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৫) চালু হবে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯), সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৪), এবং চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে সাগরিকা এক্সপ্রেস (২৯/৩০) ট্রেন চালু হবে।
চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন এবং কন্টেইনার ট্রেনও চলাচল করবে পাশাপাশি।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথে দুটি লাইন রয়েছে। স্রোতের কারণে একটি লাইন (চট্টগ্রাম-ঢাকা) বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর অন্যটি (ঢাকা-চট্টগ্রাম) তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এটি সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট, এবং চাঁদপুর রুটে প্রতিদিন ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া, কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা, এবং ময়মনসিংহ রুটেও নিয়মিত লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে।