জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিশ্বের বড় ও ছোট শহরগুলি দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে। ঢাকা, যা একটি মেগাসিটি, এর বাতাসে দূষণ দিন দিন বাড়ছে। বৃষ্টির সময় দূষণের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়, তবে এর পর কয়েক দিনের মধ্যে দূষণ আবার মাঝারি অবস্থায় ফিরে যায়।
৮ জুলাই সোমবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে, আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী রাজধানী ঢাকা ৬৪ স্কোর নিয়ে ২৬ নম্বরে রয়েছে, যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় পাকিস্তানের লাহোর ১৮০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, যেখানে ১৬০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা, ১৪০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো, আর ১৩৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর এবং ১২৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো শহর।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ একটি ভালো গণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। যখন স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হয়, তখন বায়ুটিকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরীর বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। এগুলি হলো: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে এবং এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।