দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালাতে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের উপর তৃতীয় দিনের মতো আজ বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
আজ সকাল সাড়ে দশটার পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে জানান যে, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি অসুস্থ থাকায় আজ দ্বৈত বেঞ্চ বসবে না। এর পর অ্যাটর্নি জেনারেল বিচার কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় রিটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও আইনজীবী অনীক আর হক। এর আগে, গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী এ রিটটি দায়ের করেন। তারা হলেন আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন এবং আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তাজা গুলি ব্যবহারের কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাজা গুলি ব্যবহার না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, তথাকথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দ্রুত মুক্তি দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে।