জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং কর ফাঁকির বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
প্রথম ধাপে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, এবং ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিমসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও সঞ্চয় অধিদফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এই অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিশেষ অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। সিআইসি সংবাদ পর্যালোচনা ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা তৈরি করেছে। পর্যায়ক্রমে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে আয়কর আইন-২০২৩ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ অনুযায়ী ফাঁকি দেওয়া কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আর্থিক খাতে দুর্নীতি ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধেও আর্থিক খাতে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ‘কুইক রেন্টাল’ সুবিধার অন্যতম গ্রহণকারী এবং তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের বিরুদ্ধে জমি দখল, অনিয়ম এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে।
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিমের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।