মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কারাগারে বন্দী ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করার পর বাংলাদেশে ফিরেছেন। একইসাথে মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১৩৪ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও অন্যান্য সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মিয়ানমারের জাহাজ ইউএমএস শিন ডুইন শনিবার ৮ জুন সকালে সিট্যুয়ে বন্দর থেকে রওনা হয়ে কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে পৌঁছে এবং রবিবার মিয়ানমারের ১৩৪ সেনা ও অন্যান্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলো। মিয়ানমার অনুবিভাগের সমন্বয়ে ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিট্যুয়েতে অবস্থান করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়, সাক্ষাৎকার এবং যাচাইকরণের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রাভেল পারমিট প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণুবিভাগের মহাপরিচালক মাইনুল কবীর জানান, তার ইউএমএস শিন ডুইন জাহাজে গিয়ে বাংলাদেশিদের গ্রহণ করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রত্যাগত বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অন্যান্য কাজ এবং মিয়ানমারের সেনাসহ সকলকে ফেরত দান সম্পন্ন হয়েছে।
দেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি’র সার্বিক সহায়তায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত সনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। উক্ত স্থানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আগত বিজিপি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে তিন পর্যায়ে মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য মোট ৭৫২ জন সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ইতোপূর্বে ২৪ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে আরও ১৭৩ জন সহ এ বছর মোট ২১৮ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।