১৬ উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন শপথ নেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, যদিও মূলত রাত ৮টায় শপথের সময় নির্ধারিত ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায়, এবং সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকার বাইরে থাকায় আজ শপথ নিতে পারেননি।
শপথ গ্রহণকারী উপদেষ্টারা হলেন:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণের আগে, রাত ৮টা ২৮ মিনিটে তার গাড়িবহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। তার আগে বিএনপির নেতৃবৃন্দ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গভবনে পৌঁছান।
দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
বিমানবন্দরে ড. ইউনূস বলেন, “সাম্প্রতিক সহিংসতাগুলো ষড়যন্ত্রের ফল, এবং এগুলো রোধ করতে হবে। সহিংসতাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, কোনো প্রতিহিংসামূলক কাজ করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা যদি আমার ওপর আস্থা রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো ধরনের হামলা বা বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি এসব ঘটে, তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকতে পারব না।”
নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, যারা এই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. ইউনূস আরও বলেন, “আজ আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে, যিনি দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে। তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ, তারা যেন নিজেদের মতো করে দেশটিকে সাজাতে পারে।”