ঢাবির ১৫০০ শিক্ষার্থীকে কোরআন দিয়ে বরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১,৫০০ নবাগত শিক্ষার্থীকে কোরআন উপহার দিয়ে বরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হওয়া নতুন ১,৫০০ শিক্ষার্থীকে পবিত্র কোরআন এবং প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনীগ্রন্থ (সিরাত) উপহার দিয়ে নবীনবরণ করা হয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ঢাকা ইউনিভার্সিটি দাওয়াহ অ্যাসোসিয়েশন এই বিশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতি

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি দাওয়াহ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হামিদুর রশিদ জামিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আল কুরআন অ্যাকাডেমি লন্ডনের চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দীন আহমদ। অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:

• ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক (আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
• ড. এম আবদুল আজিজ (মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ইসলামিক থট)
• জি (অব.) কর্নেল মো. জাকারিয়া হোসেন
• প্রফেসর মোখতার আহমেদ (ইসলামিক আলোচক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• ড. মুহা রফিকুল ইসলাম (সহকারী প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
• মুসা আল হাফিজ (কবি, লেখক ও চিন্তক)
• আরিফুল ইসলাম অপু (সহকারী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম)।

অনুষ্ঠানের আয়োজন ও উপহার

নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে দাওয়াহ অ্যাসোসিয়েশন তাদের পক্ষ থেকে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একটি কোরআন, নবীজির জীবনীগ্রন্থ (সিরাত), একটি প্রসপেক্টাস এবং একটি চাবির রিং উপহার দেয়।

আয়োজনের উদ্দেশ্য

হামিদুর রশিদ জামিল অনুষ্ঠানে বলেন, “নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য এই নবীনবরণ শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি ইসলামের সুমহান আদর্শের বাণী তাদের সামনে তুলে ধরার একটি আন্তরিক প্রচেষ্টা। দাওয়াহ মানে আল্লাহর পথে আহ্বান। আমরা এই নবীনবরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই, যেখানে ইসলামের সৌন্দর্য ও মানবতার কল্যাণ অনুরণিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ২০২২ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দাওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। এর মধ্যে আমরা হাফেজ ভাইবোনদের নিয়ে সম্মেলন আয়োজন করেছি এবং শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই নবীনবরণও সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ।”

প্রধান বার্তা

এই অভিনব আয়োজনের মাধ্যমে দাওয়াহ অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছানোর পাশাপাশি তাদের চিন্তার জগতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে।