শিরোনাম

পুতুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ করেছে যে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক পদ লাভ করেছেন। দুদক অনুসন্ধানকালে জানতে পেরেছে, সায়মাকে এই পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

দুদক এক বিবৃতিতে জানায়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই সফরসঙ্গী হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। তার প্রার্থীতার যোগ্যতার তথ্যও যথাযথ ছিল না, এবং পাসপোর্টধারী কানাডার নাগরিক হিসেবে তার পরিচয় পাওয়া গেছে।

দুদকের তথ্যানুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচও-এর ৭৬ তম সম্মেলনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি পাঠানো হয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিজের পারিবারিক প্রভাব এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতি করেছেন।

একই সময়ে, এক অনুদান অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তার পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে বেআইনিভাবে ১০ কাঠা প্লট দখল করেছেন। এর জন্য দুদক ইতোমধ্যেই একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে।

এছাড়াও, তিনি ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামক প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ উপঢৌকন সংগ্রহ ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়েছেন, যার ফলে সরকারের বিপুল অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুদক সব তথ্য হাতে নিয়ে জানিয়েছে যে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির শক্তিশালী অভিযোগ রয়েছে।