ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তুরাগ নদের ওপর নির্মিত টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর বেইলি ব্রিজের একটি লেন ভেঙে পড়েছে। শনিবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে, যখন একটি পাথরবোঝাই ড্রামট্রাক ব্রিজের সঙ্গে নদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় ট্রাকচালকসহ আরও একজন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এদিকে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ওই পথে চলাচলকারীদের বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গী তুরাগ নদের বড় ব্রিজ নির্মাণের সময় এই বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। বড় ব্রিজের কাজ শেষ হলেও এখনো অনেক যানবাহন বেইলি ব্রিজ ব্যবহার করে। তুরাগ নদে দুটি বেইলি ব্রিজ রয়েছে, যার একটিতে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ এবং অন্যটিতে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যান চলাচল করে। ভোরে টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর বেইলি ব্রিজের একটি অংশ ভেঙে পড়ে, যেখানে আবুল খায়ের গ্রুপের পাথরবোঝাই একটি ট্রাক আটকা পড়ে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
দুর্ঘটনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ গাজীপুরমুখী যানবাহনকে উত্তরা থেকে বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতু ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে।
ব্রিজের পাশের এক চা দোকানি মনসুর জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে দেখা যায়, একটি পাথরবোঝাই ট্রাক নদে পড়ে আছে এবং বেইলি ব্রিজের একটি অংশ ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের টঙ্গী জোনের পরিদর্শক জাফর আহমেদ জানান, তুরাগ নদের ওপর তিনটি বেইলি ব্রিজ রয়েছে, যার মধ্যে দুইটি যান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। একটি ভেঙে যাওয়ার পর, এখন গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী যানবাহন একটি ব্রিজ ব্যবহার করছে, আর ঢাকা থেকে গাজীপুরমুখী যানবাহন বিআরটি উড়াল সেতু ব্যবহার করছে। তবে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক ও কামাড়পাড়া-টঙ্গী রুটে যান চলাচল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
টঙ্গী সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে তুরাগ নদের ওপর এই তিনটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। ভেঙে পড়া ব্রিজটি তুলনামূলক হালকা যানবাহন এবং পথচারীদের জন্য তৈরি করা হয়। পরে এসব ব্রিজ বিআরটি প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করা হলেও দেখভালের দায়িত্ব উভয় পক্ষের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার আগে যানবাহনের চালকদের সতর্ক করতে নির্দেশনা বোর্ডও স্থাপন করা হয়েছিল।