বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম এই আদেশ দেন। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা (পরবর্তীতে বহিষ্কৃত) ফিরোজ খান কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। পরে, ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ অংশ নেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ওইদিন আসামিদের মধ্যে কয়েকজনের উসকানিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, যা স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
পরে, ইসকনের প্রবর্তক ধামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এ মামলাকে সনাতনীদের আট দফা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের ঘটনার পর সনাতনীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদেই এই আন্দোলন। এটি কোনোভাবে সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি।”