বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘে জানিয়েছেন, সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জাতিসংঘের সংখ্যালঘু ইস্যু সংক্রান্ত ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এবং এটি একটি বিচারাধীন মামলা। তবে কিছু বক্তা তার গ্রেপ্তারের ঘটনায় ভুল ব্যাখ্যা করেছেন, যা হতাশাজনক।
স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, একজন মুসলিম আইনজীবীকে হত্যার পর সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে সব ধর্মের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসেন। এতে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবসময় সতর্ক। কোনো ধরনের অপচেষ্টা হলে তা প্রতিহত করার জন্য সরকার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন, দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ধর্মীয় কারণে নয়, বরং রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধের ফল। সহিংসতার শিকার বেশিরভাগ মানুষ মুসলিম, এবং অল্প সংখ্যক ব্যক্তি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত আক্রমণের কোনো নজির নেই। বরং দেশের দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অনুযায়ী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সবসময় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এসেছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা রোধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
No tags found for this post.