শিরোনাম

ভারতকে বিএনপি নেতার হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। তিনি বলেছেন, “ভারত খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে এবং শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বাংলাদেশকে দুর্বল ভাবার সুযোগ নেই। যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হয়, আমরা দিল্লি পর্যন্ত জবাব দিয়ে দেবো।”

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিব উন নবী খান সোহেলের বক্তব্যের মূল বিষয়

সোহেল বলেন, “বন্ধুত্ব করতে হলে শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে করুন। আমাদের হাত বন্ধুত্বের জন্য বাড়ানো আছে। দেশের জনগণ যদি একবার ক্ষেপে যায়, কোনো অপশক্তি তাদের সামনে টিকবে না। বাংলাদেশকে দুর্বল ভাবার ভুল করবেন না।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে ৯ বছর সংগ্রাম করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী আচরণ করে সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছেন। শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করার জন্য তার জেল হওয়া উচিত।”

বিএনপির ওপর নিপীড়ন ও ক্ষমতা দখলের অভিযোগ

হাবিব উন নবী খান সোহেল আরও অভিযোগ করেন, “গত ১৬ বছর ধরে আমরা রাতে ঘুমাতে পারিনি। বারবার আমাদের সহযোদ্ধাদের গায়েবানা জানাজা পড়তে হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জর্জরিত করেছেন। তিনি মনে করেছিলেন বাংলাদেশ তার বাপ-দাদার সম্পত্তি। কিন্তু এবার কোনো আশ্বাস কাজ করবে না।”

তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি ছাড়া করার পর শেখ হাসিনা নিজেই দেশছাড়া। এবার তার আর বাংলাদেশে ফেরার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের জনগণ শহীদদের রক্ত ভুলে যাবে না। সব রক্তের হিসাব দিতে হবে।”

নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ও নতুন নেতৃত্ব

সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:

  • শরীফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি
  • আবু ওয়াহাব আকন্দ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
  • লায়লা বেগম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য
  • মাজহারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
  • জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

প্রায় ২৭ বছর পর অনুষ্ঠিত এই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং হাজী ইসরাইল মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।