গাজীপুর মহানগরীর পানিশাইল এলাকায় একটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের বিক্ষোভে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে বেক্সিমকো ও ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে কাজ শুরু করতে না পেরে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানি এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। একই সময় বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরাও পৃথক স্থানে সড়ক অবরোধ করছিল। একপর্যায়ে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের পাশাপাশি এলাকাবাসীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা জিরানি বাজারের পাশে অবস্থিত অ্যামাজন নীট ওয়্যার কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, দুপুর ২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে কারখানার ফেব্রিক্স, তৈরি পোশাক ও মূল্যবান যন্ত্রপাতি পুড়ে যায়।
তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক মো. হানিফ অভিযোগ করেন, ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার প্রায় এক ঘণ্টা পর পৌঁছায়।
এদিকে, বিক্ষোভের কারণে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে যান চলাচল শুরু হলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।