বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভাজনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। বিভাজনের রেখা তৈরি করছে দিল্লি। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে আগ্রাসনের পথে হাঁটতে চায় ভারত।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজ দেশের সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক বিষয়ে নিজেদের সচেতন হওয়া উচিত। ভারতের শাসকগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতাকে উৎসাহিত করছে, যা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।”
রিজভী আরও বলেন, ভারতের শাসকগোষ্ঠী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণ সব সময় রুখে দাঁড়াবে।
ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আসাম, কাশ্মীর, মনিপুর ও পাঞ্জাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। সেখানে মুসলিমরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের আগে নিজেদের সমস্যা সামলানো উচিত। শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন দরকার হলে তা ভারতে করা উচিত, বাংলাদেশে নয়।”
রিজভী বলেন, যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাদের বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই। বাংলাদেশে কোনো বিভাজন নেই। বিভাজনের চেষ্টা সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই দিল্লির দাসত্ব মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।”