শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রাস্তার পাশে খেলার সময় বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। তবে নতুন বৃষ্টি না হওয়ায় ময়মনসিংহ ও শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে নেত্রকোণায় ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, ফলে সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ কমছে না।
ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলায় পানি নামতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। উজানের পানি নদ-নদী দিয়ে নেমে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলে।
শেরপুর জেলার পাঁচ উপজেলায় দেড় লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন, তবে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এবং ৫২ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
অন্যদিকে, নেত্রকোণার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলেও উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে এবং কংশ নদীর পানিও বেড়েছে। এতে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দাসহ পাঁচটি উপজেলার দেড়শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ সেখানে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন এবং ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের পানির তোড়ে ভেসে গেছে।