ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দেশের পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশ, র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চোরাগোপ্তা হামলার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ও বোমা হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে। আখাউড়া সীমান্তে বিশেষভাবে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধীদের দমনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে বিক্ষোভ ও হামলার প্রেক্ষিতে ঢাকার গুলশান এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ইসকন মন্দিরগুলোতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং অর্থায়নের উৎস খুঁজে বের করার কাজ চলছে। জেলা পর্যায়ের পুলিশ সুপাররা ইতোমধ্যে এই তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। তৃতীয় পক্ষ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।