ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিবৃতি: বাংলাদেশ সরকারের অসন্তোষ ও ভারতকে আহ্বান
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত থেকে দেওয়া ধারাবাহিক রাজনৈতিক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং ভারত সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বলেন, “আমরা একাধিকবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার এবং ভারত সরকারকে জানিয়েছি যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবস্থানকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা আমাদের সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না। ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তাঁকে বিবৃতি প্রদান থেকে বিরত রাখা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ রক্ষার স্বার্থে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় হাইকমিশনার বিষয়টি তাঁর সরকারের কাছে উপস্থাপন করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন, তবে এ বিষয়ে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি।”
শেখ হাসিনাকে ফেরানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এবং এ বিষয়ে আমাদের কনসার্ন মিনিস্ট্রি বা অফিস থেকে নির্দেশনা পাওয়া গেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
ভারতে পলাতক অন্যান্য বাংলাদেশিদের সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মুখপাত্র জানান, এ বিষয়ে পরিসংখ্যান বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই।
এছাড়াও, ভারতে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়ে কোনো অনুরোধ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনো অনুরোধ নেই এবং সরকার থেকেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
ভারতীয় ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জরুরি মেডিকেল ভিসা ছাড়া ভারত বর্তমানে কোনো ভিসা ইস্যু করছে না। মুখপাত্র জানান, “আমরা ভারত সরকারকে বার বার অনুরোধ করেছি ভিসা ইস্যুতে তাদের সংকট কাটানোর জন্য। তবে এখনো জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে তারা বিষয়টি স্থগিত রেখেছে। তৃতীয় দেশে ভারতীয় ডাবল এন্ট্রি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য বিশেষত রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
মুখপাত্র বলেন, “জরুরি মেডিকেল ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং এভাবেই আমরা ভিসা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।”