ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা: বাংলাদেশের পর্যটক ও বাণিজ্যে প্রভাব
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ৫ আগস্ট তার সরকারের পতনের পর থেকে ভারতে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। গত এক মাসে কলকাতায় যেসব বাংলাদেশি গেছেন, তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। শেখ হাসিনার মতো তারা নিজেরা সুরক্ষিত থাকার জন্য সেখানে অবস্থান করছেন। সাধারণ পর্যটকরা না আসায় কলকাতার পোশাক বাজারে বিক্রি প্রায় ৬০ শতাংশ কমেছে এবং হোটেল বুকিং ৭০ শতাংশ কমেছে। চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীর সংখ্যা এক তৃতীয়াংশে নেমেছে, যা অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ইঙ্গিত করছে।
ভারতে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্কও তেমন ভালো নয়, ফলে সংকটের সহজ সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশে ভারতীয় প্রভাব, পানি বণ্টন ও সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে কলকাতার ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এসএস হগ মার্কেট বা নিউ মার্কেট, যেখানে সাধারণত বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে, সেখানে এখন আর তেমন ভিড় নেই। নিউ মার্কেটের দোকান মালিক অশোক গুপ্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি ক্রেতাদের অভাবে তাদের দোকানের বিক্রি ৬০ শতাংশ কমেছে। পোশাক, সাজগোজের জিনিস ও জুতা বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মার্কুইস স্ট্রিট এলাকায় হোটেল মালিকদের সংগঠনের নেতা মনতোষ সরকার জানান, হোটেলগুলির রুম অগ্রিম বুকিং এর হার ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। আগে এই হার ছিল ৬০-৮০ শতাংশ। এছাড়া, মার্কুইস স্ট্রিটের অন্যান্য পর্যটকসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
বাংলাদেশি রোগীরা যারা ভারতে চিকিৎসার জন্য আসেন, তাদের সংখ্যা গত এক মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কলকাতার হাসপাতালগুলোতে গত মাসে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে, যদিও মেডিক্যাল ভিসা দেওয়া হচ্ছে।