শিরোনাম

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে, এএনআইকে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে, মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর দেশটির বার্তাসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিএনপি মনে করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক উভয় দেশের জন্য বেশ ইতিবাচক ফল বয়ে এনেছে। বাংলাদেশে গত নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছিল, তবে ভারতীয় হাইকমিশনারের আমাদের অফিসে আসার মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। এখন বরফ গলতে শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সবসময়ই একটি ভালো সম্পর্ক বিরাজমান এবং তা উন্নত হয়েছে। এটি ভারতের জন্য বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি টার্নিং পয়েন্টও। প্রণয় ভার্মা নিশ্চিত করেছেন যে, ভারত সরকার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য ব্যবহার করতে দেবে না।

ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। পানির ভাগাভাগি সমস্যা, সীমান্ত হত্যা এবং বর্তমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, ভারতের প্রধান উদ্বেগ ছিল নিরাপত্তার বিষয়টি। আমরা আশ্বস্ত করেছি যে, ক্ষমতায় এলে আমাদের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা ব্যবহৃত হবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সবসময়ই ভালো ছিল, তবে বিএনপি এবং ভারতের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি মনে করি বরফ গলতে শুরু করেছে এবং আশা করছি সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করতে হবে এবং তাদের উচিত একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে বিএনপির এই নেতা জানান, “আমি জানি না সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে কিনা। তবে আমার মনে হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফিরে আসা উচিত যাতে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মুখোমুখি হতে পারেন এবং জবাবদিহি করতে পারেন।”

সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে—এমন যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো গুরুতর সমস্যা নেই। প্রতিটি পরিবর্তনের পর কিছু সমস্যা থাকে, যা রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক নয়। তবে আমরা আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য খুবই সজাগ। বিশেষ করে, পূজার আগে আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশে আমাদের ইউনিটগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি।