জুলাই-আগস্ট গণহত্যা এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে ওই ঘটনার তথ্য গোপন করার অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে তাকে ১৮ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থার সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে যাত্রাবাড়ি থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে ১৫ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আজকের পিটিশনের ভিত্তিতে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর একদিনের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, “সে সময় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসব বিষয়ে তার সম্পৃক্ততার তথ্য রয়েছে। এসব অপরাধের তথ্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”
তিনি অভিযোগ করেন, “ওই সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়ে তিনি দেশকে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিলেন এবং গণহত্যার তথ্য গোপন করেছিলেন। এসব অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তদন্তে তার বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এদিকে, যাত্রাবাড়ি থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে ১৫ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত আরও নির্দেশ দেন, “গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আসামিরা কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, তার ব্যাখ্যা আগামী ৭ দিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতে হবে।”
এছাড়া, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সঠিকভাবে প্রতিবেদন দিতে না পারায় তদন্ত সংস্থার কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনাল।