জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মানজুর আল মতিন বলেছেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ ধরনের অপপ্রচার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অংশ। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের মংলারগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানজুর আল মতিন বলেন, “বাংলাদেশ হিন্দু-মুসলিম সবার দেশ। আমাদের ঐক্যই দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সবাইকে একসঙ্গে দাঁড়ানো। কোনো ভাই যেন অন্য ভাইকে শত্রু মনে না করে।”
দোয়ারাবাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “হামলার চিহ্ন এখনো স্পষ্ট। এ ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”
মানজুর আল মতিন আরও বলেন, “ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু সেই ঘটনার সূত্র ধরে অন্যদের বাড়িঘরে হামলা করার কোনো সুযোগ নেই। যারা এই অপরাধ ঘটিয়েছে, তাদেরও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে বলছে, যা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। সরেজমিনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে যে, প্রকৃত চিত্র তাদের প্রতিবেদনের সঙ্গে মেলে না।”
তিনি বলেন, “যারা দেশের ভেতরে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়, তাদের খুঁজে বের করা জরুরি। কারা এসব ষড়যন্ত্রে জড়িত এবং মানুষকে উত্তেজিত করে এমন কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন।”
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য প্রিতম দাশ, চিকিৎসক ও অ্যাক্টিভিস্ট তাজনুবা জাবিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।