শিরোনাম

বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য জামায়াতের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ ঘন্টা আগে

জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিএনপির আহ্বানে একমত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এ কথা জানান।

জামায়াতের প্রতিনিধি দলের বৈঠক

জামায়াতে ইসলামীর আমিরের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠকে অংশ নেয়। বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রমজানে কৃত্রিম সংকট প্রতিরোধ, এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ডা. শফিকুর রহমান জানান, দেশের জনগণকে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ন্যূনতম সংস্কার কার্যকর করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারকে ১০টি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে, যা নির্বাচনের আগে বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যারা দেশবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। এ প্রসঙ্গে ইসকন ইস্যু নিয়েও কথা হয়েছে।

জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন:

  • ডা. শফিকুর রহমান (আমির)
  • এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ (সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল)
  • মাওলানা আব্দুল হালিম
  • সাইফুল আলম খান মিলন (কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য)

বিএনপির প্রতিনিধি দলের আগের বৈঠক

এর একদিন আগে (২৭ নভেম্বর) বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চলমান সংকট কাটাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

মির্জা ফখরুল আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার কাছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিএনপির উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা

বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতারা একমত যে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি কার্যকর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তারা মনে করেন, জনগণের ক্ষোভের কারণগুলো সমাধান করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।